জাবি ছাত্রলীগের সোনালী ফসল 'সেঞ্চুরি মানিক' ও নারী নিপীড়নের একাল সেকাল


 জাবি ছাত্রলীগের সোনালী ফসল 'সেঞ্চুরি মানিক' ও জাবি ছা'লীগের নারী নিপীড়নের ইতিহাস :


বাঁধন যাকে ছাত্রলীগের কর্মীরা নির্যাতন করেছিল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শত ধর্ষণ মিষ্টি বিতরণ করে উৎযাপন করে তৎকালীন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন মানিক । ছাত্রী ভর্তীচ্ছু এবং গ্রামের নারী শ্রমীক যারা বিশ্ববিদ্যালয় অতিক্রম করে কর্মস্থলের যেত তাঁরাই ছিলো এই দানবের লালসার স্বীকার । এ দানব এক দিনে তৈরী হয়নি । একাও তৈরী হয়নি । এখনো এই দানবের উত্তরসূরীদের লালসার স্বীকার দেশের অসহায় নারীরা!  

এদিকে গত কিছুদিন আগে ১৯৯৮ সালে্র আওয়ামী লীগের শাসনামলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীন মানিক একশো নারীকে ধর্ষণ করে মিষ্টি বিতরণ করে উদযাপন করার ঘটনাকে বিশ্বাসযোগ্য নয়, বরং সস্তা রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা বলে আখ্যায়িত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। 


 

সেঞ্চুরি মানিকের ইতিহাস পুরোপুরি অস্বীকার করছে আওয়ামীলীগ! দেখে নিই ইতিহাস কি বলছে- 


The Daily Star :  Jasimuddin Manik, a student of Drama and Dramatics department and the former general secretary of the JU unit of BCL, was on the top of the list of seven persons accused of having committed rape. The report also said that Manik on completion of his 100th rape 'celebrated the occasion by offering sweets and throwing a cocktail party'.

 

কালের কণ্ঠঃ ১৯৯৮ সালে তৎকালীন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন মানিক প্রথম কলঙ্কিত করে এ প্রতিষ্ঠানকে। তার লোলুপতার শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্রী। ঢাকঢোল পিটিয়ে 'ধর্ষণের সেঞ্চুরি' উদযাপন করেছিল মানিক। 

 

দৈনিক ইনকিলাবঃ ১৯৯৮ সালে জসিম উদ্দিন মানিক একশত মেয়েকে ধর্ষণের বিভৎসতা করে গৌরবের সঙ্গে ‘ধর্ষণের সেঞ্চুরি’ উদযাপন করেছিল। ওই সময় সাধারণ ছাত্রছাত্রী ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলো তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে ধর্ষক মানিককে ক্যাম্পাস ছাড়া করে। 


জাগো নিউজঃ জাহাঙ্গীরনগরে ছাত্রলীগের জসিম উদ্দিন মানিক যখন একের পর এক ধর্ষণ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই ধর্ষণের শততম সেঞ্চুরি পালন করেছিল, আওয়ামী লীগ তখন ক্ষমতায়।

 

বাংলানিউজঃ  ১৯৯৮ সালে তৎকালীন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন মানিকের বিরুদ্ধে ‘ধর্ষণের সেঞ্চুরি’র অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন প্রক্টর।

 

দেশ রূপান্তরঃ সেঞ্চুরিয়ান ধর্ষক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা জসিম উদ্দিন মানিকের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে? যে শততম ধর্ষণ শেষে কেক কেটে সেলিব্রেট করেছিল বন্ধুদের নিয়ে। সেই সাইকোপ্যাথ ধর্ষকের কি কোনো শাস্তি এই রাষ্ট্র দিয়েছিল?

কেন দেয়নি? তার পেছনেও রাজনীতি(!)। কারণ সে ছিল তৎকালীন সরকারি দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের নেতা। কথিত আছে, সেঞ্চুরিয়ান ধর্ষক মানিককে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

 

 প্রথম আলোঃ ১৯৯৮ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন মানিক ধর্ষণের সেঞ্চুরির ঘোষণা দেন। সেই ঘটনায় দেশজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিবাদে উত্তালও হয়ে ওঠে।

 

বিডিনিউজঃ ১৯৯৮ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনায় দেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে ওঠে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন মানিকের ধর্ষণের সেঞ্চুরির স্বঘোষিত ঘোষণায় সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

 

উইকিপিডিয়াঃ ১৯৯৮ সালে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মানিক ও তার সঙ্গীরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিতাড়িত হয়।   পূণরায় প্রত্যাবর্তন করলে ১৯৯৯ সালের ২রা আগস্ট তারিখে শিক্ষার্থীদের এক অভ্যুত্থানে ওই অভিযুক্তরা পূনরায় বিতাড়িত হয়। এই আন্দোলন দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম যৌন নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলন বলে পরিচিত।

 

 

 

 j

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 মানিক ১০০ নারীর সাথে সেক্স ও ধর্ষণ করে হলে পার্টি দিয়েছিল এই গল্পটা সবার জানা আছে। মানিক মোট কতোগুলো ধর্ষণ করেছে তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই। কিন্তু তার পার্টির কারণে পরবর্তীতে তাকে ‘সেঞ্চুরিয়ান মানিক’ নামে ডাকা হতো। এই মানিকের কোন বিচার হয়নি। সরকারী সহযোগিতা ছাড়া মানিক যে ইতালিতে যেতে পারতো না এটা বুঝছে দার্শনিক হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। মানিকের ঘটনা আজ থেকে প্রায় ২৩ বছর আগে। অথচ দেশের পরিস্থিতি আজও সেই মানিকের সময়ে পড়ে আছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বাঁধন যাকে ছাত্রলীগের কর্মীরা নির্যাতন করেছিল

 

 

মানিক ১০০ নারীর সাথে সেক্স ও ধর্ষণ করে হলে পার্টি দিয়েছিল এই গল্পটা সবার জানা আছে। মানিক মোট কতোগুলো ধর্ষণ করেছে তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই। কিন্তু তার পার্টির কারণে পরবর্তীতে তাকে ‘সেঞ্চুরিয়ান মানিক’ নামে ডাকা হতো। এই মানিকের কোন বিচার হয়নি। সরকারী সহযোগিতা ছাড়া মানিক যে ইতালিতে যেতে পারতো না এটা বুঝছে দার্শনিক হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। মানিকের ঘটনা আজ থেকে প্রায় ২৩ বছর আগে। অথচ দেশের পরিস্থিতি আজও সেই মানিকের সময়ে পড়ে আছে।

 

 

মানিকই ছাত্রলীগের শেষ অপকর্ম নয়। ১৯৯৯ সালের থার্টি ফাস্ট নাইটে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের সময় বাঁধন নামের এক নারী প্রকাশ্যে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিল। আর এই ঘটনা ঘটিয়েছিল ঢাবি ছাত্রলীগ। ঐ ঘটনার পর সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়। এ নিয়ে পত্রিকায় লেখালেখিও বেশ। মামলাও হয়। টিএসসির এই নারী নির্যাতনের ঘটনায় সরকারী দলের কর্মীরা শাওন আক্তার বাঁধনকেই দোষী হিসেবে বক্তব্য দিতে শুরু করে। বাঁধনের ঘটনায় দায়ের করা মামলা ১১ বছর চলার পর তিন আসামির সবাই খালাস পেয়ে যান। ২০১০ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার সবাইকে খালাস দেয়। আসামিরা ছিল-ফজলুল হক রাসেল, খান মেজবাউল আলম টুটুল ও চন্দন কুমার ঘোষ ওরফে প্রকাশ। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন। রায়ে বিচারক বলেন, অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণ করতে না পারায় আসামিদের খালাস দেয়া হলো।

 

 মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাতে বাঁধন তার বান্ধবী শীলা রহমান, শীলার স্বামী জিল্লুর রহমান ও তার বন্ধু জাহাঙ্গীর একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে টিএসসি এলাকায় ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন করতে আসেন। এ সময় ঐ  তিন জনসহ আরও ১০-১২ জন তাদের গাড়ি থামিয়ে বাঁধনকে নিয়ে টানাটানি শুরু করে। হামলাকারীরা বাঁধনের শ্লীলতাহানি করে।

 

 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সাহসী ছাত্রছাত্রীরা – Desh Bhabona
‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’এর ডাকে ক্যাম্পাসে হাজার-হাজার শিক্ষার্থীর উত্তাল মিছিল নামে

 

 

 ১৯৯৭-৯৮ সাল। জসীমউদ্দিন মানিক ছিলো জাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।তখন ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ ছিলো দুই গ্রুপে বিভক্ত, কিলার গ্রুপ এবং রেপিস্ট গ্রুপ। মানিক ছিলো রেপিস্ট গ্রুপ নামে পরিচিতদের প্রধান নট। এই মাণিক নিজের ধর্ষণের সেঞ্চুরি উপলক্ষ্যে মিষ্টি বিতরণ করে ক্যাম্পাসে।
ক্রোধে ও স্পর্ধায় ফুঁসে উঠেছিলো জাহাঙ্গীরনগর। মাণিকের বিচারের দাবীতে প্রথম মিছিল করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, সাংস্কৃতিক জোট অার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবেকবান ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত হয় “ধর্ষণের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর”।
১৯৯৯ সালের দোসরা অাগস্ট ‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’এর ডাকে ক্যাম্পাসে হাজার-হাজার শিক্ষার্থীর উত্তাল মিছিল নামে। শ্লোগান ওঠে “কিলার রেপিস্ট ভাই-ভাই, এই ক্যাম্পাসে ঠাঁই নাই।” 

 

জাবি শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ, আহত ২০ | The Daily Star  Bangla
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে হামলার শিকার এক জাবি ছাত্রী মাটিতে শুয়ে কাতরাচ্ছেন

 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনে ২০১৯ এর নভেম্বরে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে পাঁচ নারী শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছিল।  সরকার ও রাজনীতি বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী মারিয়াম রশিদ ছন্দা্র পেটে লাথি মারেন এক ছাত্রলীগ নেতা। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

 

 





 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Comments

Popular posts from this blog

সৌদি জোটের সামরিক আগ্রাসনের পর ইয়েমেনের কোন অংশ কারা নিয়ন্ত্রণ করছে?

‘ব্র্যাক’ এদেশে কি প্রতিষ্ঠা করতে চায়?

Midnight Massacre in Dhaka by Security Forces of Bangladesh [WARNING GRAPHIC VIOLENCE]